মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুরে গাবতলি সিএনজি স্ট্যান্ডে পৌরসভার টোল আদায়কে চাঁদা উত্তোলন মনে করার ঘটনায় শ্রমিক ও পৌরসভার কাউন্সিলরদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কাউন্সিলর সহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিএনজি স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শ্রমিক ও মাধবপুর পৌর কর্তৃপক্ষ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মাধবপুর পৌরসভার সচিব আমিনুল ইসলাম এ ঘটনার বর্ণনা করে সাংবাদিকদের জানান, মাধবপুর কাটিয়ারা সিএনজি স্ট্যান্ড ১৪৩১ বাংলা সনে ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহবান করা হলে কাক্সিক্ষত দরদাতা পাওয়া যায়নি। ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে মাধবপুর পৌর কর্তৃপক্ষ টোল আদায় করছিল। কিন্তু দুপুর বেলায় শ্রমিক সহ শতাধিক লোক দা লাঠি নিয়ে পৌরসভার কর্মচারী ও কাউন্সিলরদের উপর আক্রমণ করে। এতে কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম, কাউন্সিলর হাকিম, পৌর কর্মচারী উৎপল সাহা ও সোহেল মিয়াসহ ১০/১২ জন আহত হয়।
অপরদিকে কাটিয়ারা গাবতলি সিএনজি স্ট্যান্ডের শ্রমিক নেতা লোকমান হোসেন জানান বৃহস্পতিবার সকালে মাধবপুর পৌরসভার মেয়রের নির্দেশে পৌরসভার লোকজন সিএনজি থেকে চাঁদা উত্তোলন শুরু করে। এ সময় সিএনজি চালকরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি করলে পৌরসভার লোকজন শ্রমিকদের ওপর হামলা করে। এতে শ্রমিক চেরাগ আলী, হারুন মিয়া, কামাল মিয়া, হারিছ মিয়া, হাকিম মিয়া, আমির হোসেন, বাছির মিয়া ও মোহন মিয়া সহ ১০/১২ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় শ্রমিকরা মাধবপুর থানায় মামলা করবেন বলে জানান।
মাধবপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক জানান- আইন অনুযায়ী টোল আদায় করতে গিয়ে কাউন্সিলর সহ পৌরসভার কর্মচারীরা হামলার শিকার হয়েছে। সন্ত্রাসী ও হামলাকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুল ইসলাম খান জানান- ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।