মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জের ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি ১২ প্রার্থী নিজের ভোটটি নিজেকে দিতে পারবেন না। অর্থাৎ তারা যে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেই আসনের কোন কেন্দ্রে তাদের ভোট নেই। তারা অন্য আসনের ভোটার।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে ৩ জন, হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে ৪ জন, হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে ৪ জন ও হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে ১ জন প্রার্থী অন্য আসনের ভোটার। ফলে তারা যে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেই আসনে নিজের ভোট নিজেকে দিতে পারছেন না।
হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে অন্য এলাকার ভোটার হয়েও প্রার্থী হয়েছেন গাজী মোহাম্মদ শাহেদ, মোঃ নুরুল হক ও মোসাঃ ইয়াসমিন আক্তার মুন্নি। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে গাজী মোহাম্মদ শাহেদ সিলেট সিটি কর্পোরেশন, মোঃ নুরুল হক প্রধান ডাকঘর এলাকা হবিগঞ্জ সদর ও মোসাঃ ইয়াসমিন আক্তার মুন্নি তাহের মুহরীর বাড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার জিয়াপুর। তিনি ওই স্থানের ভোটার।
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের প্রার্থী মুশতাক আহমেদ, শংকর পাল, খায়রুল আলম ও মোঃ জিয়াউর রশিদ ওই আসনের ভোটার নন। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে মুশতাক আহমেদ মুসলিম কোয়ার্টার হবিগঞ্জ সদর, শংকর পাল হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার, খায়রুল আলম আইতন চুনারুঘাট ও মোঃ জিয়াউর রশিদ খিলগাঁও রামপুরা ঢাকার বাসিন্দা এবং ওই স্থানের ভোটার।
হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ বদরুল আলম সিদ্দীকী, মোঃ আনছারুল হক, মোঃ নোমান মিয়া ও মোঃ শাহীনুর রহমান ওই আসনের ভোটার নন। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে মোঃ বদরুল আলম সিদ্দীকী উত্তরা পশ্চিম ঢাকা, মোঃ আনছারুল হক জগদ্বীশপুর মাধবপুর, মোঃ নোমান মিয়া শতমুখা পিরোজপুর বানিয়াচং ও মোঃ শাহীনুর রহমান মেহেরগাঁও ধর্মঘর মাধবপুরের বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার।
হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আবু ছালেহ ওই আসনের ভোটার নন। তিনি নবীগঞ্জের মান্দারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই এলাকার ভোটার।