নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
নবীগঞ্জ পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকের হামলায় সদর ইউনিয়নের পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের মৃত উফরী উল্লাহর পুত্র  মিয়াধন মিয়া (৬০) নামের এক বৃদ্ধ রাস্তায় একা পেয়ে দেশ্রীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাত্ত জখম করে এক দূর্বত্তরা। আহত মিয়াধন মিয়ার আতœ চিৎকারের আশ পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারী পালিয়ে যায়। আহত মিয়াধন মিয়া উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। এঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে নামেন নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন আহত মিয়াধন মিয়ার পুত্র জিয়াউর রহমান।  মামলার এজহার সূত্রে জানাযায়, পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের  নুরুল আমিন এর সাথে মিয়াধন মিয়ার ভাতিজির শিপা বেগম এর বিবাহ হয়েছিল। দীর্ঘ দিন ঘর সংসার করার পর নুরুল আমিন ও শিপা বেগম এর মধ্যে দাম্পত্য জীবনের কলহের সৃষ্টি হইলে এক পর্যায়ে গ্রাম্য শালিস মিমাংসার মাধ্যমে তালাকের মাধ্যমে তাদের স্বামী স্ত্রীর সর্ম্পক ভেঙ্গে যায়। তালাক দেওয়ার কিছু দিন পরে নুরুল আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে আহত মিয়াধন মিয়ার বাড়িতে এসে শিপাকে দা দিয়া কুপাইয়া রক্তাক্ত জখম  করে। এই ঘটনাকে কেদ্র করে বিবাদী নুরুল আমিন  ও মিয়াধন মিয়ার বাড়ীর লোকজনের মধ্যে  বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর নুরুল আমিন আর ও রাগান্বিত হইয়া তাহার  নিকট আতœীয় মোশাহিদ মিয়া,নুরুল হক, জমশেদসহ বেশ কয়েজনকে সাথে নিয়ে  মিয়াধন মিয়ার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে রাস্তা ঘাটে গালিগালাজ সহ অপমান জনক কথা বার্তা বলতো। মিয়াধন মিয়ার নাতি ও  লাল মিয়ার ছেলে মাহদি হাসান ও মাহমুদুল হাসান পূর্ব তিমিরপুর মাদ্রাসায় বডিং এ থেকে লেখাপড়া করে। মিয়াধন মিয়া গত গত রবিবার বিকলে বডিং তাদের জন্য খাবার নিয়ে যান। খাবার দিয়ে বাড়ির দিকে আসার পথে রাস্তায় মিয়াধন মিয়াকে  পৌর এলাকার পূর্ব তিমিরপুর  সাকিনন্থ সন্তোষ মিয়ার বাড়ির সামনে ইট সলিং রাস্তার উপর আসা মাত্রই উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বিবাদীগণ পূর্ব পরিকল্পিত  ভাবে দেশিয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়া আনোয়ার মিয়ার হুকুমে আমার বাবার উপর অতর্কিত  ভাবে আক্রমন করে আহত করে। নবীগঞ্জ উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসেন। গুরুতর অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক থাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। এঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।