নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে নবীগঞ্জের ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। জমা দেয়ার চেয়ে গ্রাহকরা টাকা উত্তোলন করছেন বেশি। অনেকে আবার স্থায়ী সঞ্চয় ভেঙ্গে টাকা উত্তোলন করছেন পারিবারিক ব্যয় নির্বাহের জন্য। রমজানের পূর্বে বৃহস্পতিবার শেষ কার্য দিবস থাকায় যে সকল ব্যাংকের শাখা চালু রয়েছে সেগুলোতে ছিল দীর্ঘ লাইন। শহরের শেরপুর সড়ক এলাকায় অবস্থিত ইসলামী ব্যাংক কার্যালয় খোলার পূর্বেই রাস্তায় দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি করেন গ্রাহকরা।
ব্যাংকটির নবীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক জানান, করোনার কারণে প্রবাসীরা কোন কাজ করতে না পারায় প্রায় ৫০ শতাংশ রেমিট্যান্স কমে গেছে। ফলে গ্রাহকরা তাদের সঞ্চয় ভেঙ্গে পারিবারিক ব্যয় নির্বাহ করছেন। তার শাখায় জমার চেয়ে উত্তোলন হচ্ছে বেশী। এপ্রিলের শুরুর দিকে কিছুটা নগদ সংকট থাকলেও এখন আর নেই। বৃহস্পতিবার ১০/১২ লাখ টাকার বেশ কয়েকটি চেকের পেমেন্ট করা হয়েছে। প্রথম দিকে রেশনিং করা লাগলেও এখন আর প্রয়োজন হচ্ছে না।
ইসলামী ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে আসা শহরের একজন লোক জানান, রমজানের জন্য বাজার করার মত টাকা হাতে নেই। তাই সকাল ৯টায় এসে টাকা উত্তোলনের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছি। সকাল ১০টা পর্যন্ত ব্যাংকের ভিতরেই প্রবেশ করতে পারিনি।
নবীগঞ্জের অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক জানান, তার ব্যাংকে টাকা জমার চেয়ে উত্তোলন হয় বেশী। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে নগদ প্রবাহের ঘাটতি ছিল। সোনালী ব্যাংকেও টাকা পাওয়া যায়নি। কারণ প্রাইভেট ব্যাংকগুলো টাকার চাপ বুঝতে পেরে তারা টাকা নিজেদের কাছে ধরে রাখে। তার শাখায় রেমিট্যান্স পূর্বে দৈনিক ৪০টি হলেও এখন হচ্ছে ২০টি।
নবীগঞ্জ ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপক জানান, তার শাখায় জমা এবং উত্তোলন দু’টিই হচ্ছে সমান্তরালে। সাধারণ গ্রাহকরা টাকা উত্তোলন করলেও ব্যবসায়ীরা টাকা জমা রাখছেন। স্বাভাবিক অবস্থায় দৈনিক ২৫০টি লেনদেন হলেও এখন হচ্ছে গড়ে ১শ’। রেমিট্যান্সও কমেছে।