নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ সিলেট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমিত জেলা হবিগঞ্জ। প্রতিদিন এ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মিলে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৪৮। হবিগঞ্জের অন্যতম একটি উপজেলা নবীগঞ্জ। নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ করোনার ক্লাস্টার এলাকা হিসেবে চিহ্নিত বিভিন্ন জায়গার সাথে যোগাযোগের জন্য নবীগঞ্জের বুক বেয়েই যেতে হয় সকলকে। অথচ এ উপজেলায় সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। পণ্যপরিবহনের গাড়িতে এখন হচ্ছে যাত্রী পরিবহন। সকল যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকায় মানুষ এখন ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যানকে যাত্রীবহন গাড়ি হিসেবে ব্যবহার করছেন। ফলে নবীগঞ্জে দেখা দিয়েছে করোনার প্রবল ঝুঁকি। সরকার যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করছে সেখানে চালকরা বাড়তি টাকার লোভে পণ্যপরিবহনের গাড়িতে যাত্রী বহন করছেন। আর যাত্রীরাও গাদাগাদি করে চড়ছেন এসব পরিবহনে। এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা অনেকগুলো কোম্পানি চালু থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালবাহী এসব গাড়িতে যাতায়াত করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সারাদিন ধরেই সুযোগ বুঝে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে অবাধে যাত্রী বহন করছে বিভিন্ন পণ্যবহন করা গাড়িগুলো। এসব গাড়িতে গাদাগাদি করে চড়ছেন সাধারণ মানুষ। বাদ পড়ছেন না নারীরাও। শিশুসহ চড়ছেন এসব গাড়িতে। বিশেষ করে বিভিন্ন কোম্পানির শ্রমিকদেরকেই ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপে চলাচল করতে দেখা গেছে। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী সিএনজি ষ্টেশন বন্ধ ও হাইওয়ে পুলিশি টহল জোরদার করতে হবে। প্রয়োজনে মহাসড়কে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিলে নবীগঞ্জবাসী কিছুটা রক্ষা পাবে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি আজিজুর রহমান বলেন, আমার এরিয়ার মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো আছে। এ বিষয়ে আমাদের কঠোর নজরদারী রয়েছে। আইন অমান্যকারীদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।