আবুল কালাম আজাদ ॥ চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালের বিশেষায়িত পরীক্ষাগার থেকে আসা তথ্য অনুযায়ী এই তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হোসেন। তিনি জানান, এ নিয়ে উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬। এর আগে আরো দুজন সনাক্ত হয়। তাদের সকলকেই হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।
চুনারুঘাট উপজেলার চন্ডিছড়া চা বাগানের শ্রমিক অভিষেক তন্তবায় তার চাচাতো ভাই ৫ বছরের শিশু আভাষ তন্তবায় ক্যান্সার আক্রান্ত হলে তাকে ঢাকায় নিয়ে যান চিকিৎসা করাতে। গত ২০ এপ্রিল ঢাকা থেকে তারা ফেরার পর তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় করোনা পরীক্ষার জন্য। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ থেকে আসা রিপোর্টে হবিগঞ্জের যে ৫ জনের পজেটিভ রিপোর্ট আস তার মাঝে ওই চা শ্রমিক ও তার সন্তানও রয়েছে। তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। সকাল থেকে চা বাগানের ঐ পুরান লাইন লকডাউন করে দেন বলে জানান ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন। চন্ডিছড়া চা বাগানের স্টাফ সোহেল আহমেদ জানান, এখবর বাগানে ছড়িয়ে পড়লে আতংক দেখা দেয়। তবে চা বাগানগুলোতে করোনা ভাইরাস আসার পরও চালু রয়েছে তিনি জানান। এই খবরে সেখানে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে চা বাগান সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
এছাড়াও শুক্রবার রাতের রিপোর্টে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক ও একজন স্বাস্থ্যসহকারীর করোনা পজেটিভ হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে শনিবার সকাল থেকে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে হাসপাতালের সকল চিকিৎসক ও স্টাফদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
চুনারুঘাট্ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাম্মেল হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আক্রান্ত ডাঃ গত বছর চাকুরিতে যোগদান করেন। তিনি হাসপাতালেই গত কয়েকদিন ধরে রোগী দেখছিলেন। তিনি ধারনা করছেন কোন গোপনীয় আক্রান্ত রোগীর মাধ্যমে তিনি আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মী গত তিন দিন আগে গোগাউড়া গ্রামের করোনা সনাক্ত হওয়া রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন।