স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবলে অবৈধভাবে সরকারি ও কৃষি জমি থেকে মধ্যরাতে মাটি উত্তোলনে বাধা দেয়ায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে ইটভাটা মালিকসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতা ও মিরপুর সামিন ব্রিকস এর মালিক দুলাল মিয়া ওরফে রাডার দুলালকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার মধ্যরাতে প্রশাসনের নিষেধ অমান্য করে সরকারি ও কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে ইট ভাটায় নিয়ে আসেন দুলাল মিয়া। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি উত্তোলনে বাধা দিলে ইটভাটা মালিক দুলাল মিয়ার নেতৃত্বে কতিপয় শ্রমিক পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে এক এসআই সহ ৫ পুলিশ আহত হন। এর জের ধরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাহুবল-নবীগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী দুলালকে আটক করেন। এ সময় দুলাল মিয়ার চার শ্রমিককেও পুলিশ আটক করা হয়। পরে দুলাল সহ ৫ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
থানার এসআই সুলতান মাহমুদ বাদী হয়ে দুলাল মিয়া সহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার আইও হলেন এসআই আব্দুল মান্নান।
এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারি পুলিশ পারভেজ আলম চৌধুরী জানান, পুলিশের সাথে অসদাচরণ করায় শুক্রবার শেষ রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। গ্রেফতার ইটভাটা মালিক রাডার দুলালের বাড়ি উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত আব্দুল ছমদ মিয়ার ছেলে এবং উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা। এ সুবাদে তিনি প্রায়ই কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলনসহ নানা বিষয় নিয়ে প্রায়ই স্থানীয় প্রশাসনের সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হতেন। এছাড়া এলাকার নিরীহ লোকজনকেও নিপীড়ন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।