মোঃ মামুন চৌধুরী: শুক্রবার (২০ মার্চ) দুপুর। অসুস্থ স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকে (২২) শায়েস্তাগঞ্জে ডাক্তার দেখাতে নেবেন বলে বাড়ি থেকে বের হন নোমান মিয়া (২৫)। তিনি শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের আবদুল মতলিবের ছেলে। বাড়ি থেকে বের হয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশায় চড়েন। পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জ নূরপুর এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হয় নোমান মিয়াদের অটোরিকশা। একটি বাস সামনে থেকে অটো রিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান নোমান মিয়া। অটোরিকশার চালকসহ অপর তিন যাত্রী আহত হন। এদের মধ্যে নোমানের স্ত্রী ইয়াসমিনের অবস্থা গুরুতর ছিল। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ইয়াসমিনের। শুক্রবার (২৭ মার্চ) নূরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মুখলিছ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ইয়াসমিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর এতিম ও অসহায় হয়ে পড়েছে তাদের যমজ কন্যাশিশু। শিশু দুটির বয়স মাত্র দেড় বছর। তাদের একজনের নাম আরফিন আক্তার অন্যজন আফিয়া আক্তার। অসহায় এ শিশুদের দুর্ভাগ্য এলাকাবাসীকে আবেগাপ্লুত করে তুলেছে। তাদের আত্মীয়-স্বজনরাও শিশু দুটিকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। শিশু দুটি বর্তমানে তাদের দাদা-দাদীর কাছে আছে।