মোঃ আলাল মিয়া, নবীগঞ্জ থেকে ॥ তিন বন্ধু মিলে নবীগঞ্জের কুশিয়ারা নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ নারায়ণগঞ্জের মারুফের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সিলেট ওসমানীনগর থানার ফায়ার সার্ভিসের একদল কর্মী দু’দিন অনেক খোঁজাখুজির পর অবশেষে শুক্রবার সকালে নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করেন। বৃহস্পতিবার বন্ধুদের সাথে কুশিয়ারা নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হন মারুফ। ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমতল্লা গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার পুত্র সে।
২০২০ সালে নারায়ণগঞ্জ আইটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে নবীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী সিলেট ওসমানীনগর থানার শেরপুর আবাসিক এলাকা জামে-মসজিদে তাবলীগ জামাতে আসেন মারুফ। এদিকে মারুফের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের ছোট ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা তার মা, ভাই ও বোন। আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ পাঠানো হয়েছে নারায়ণগঞ্জের পশ্চিমতল্লা গ্রামে।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার (১২মার্চ) নবীগঞ্জ উপজেলা ও ওসমানী নগর থানার মধ্যেবর্তী স্থান শেরপুর কুশিয়ারা নদীতে নিখোঁজ হয় মারুফ। শেরপুর আবাসিক এলাকা জামে মসজিদে ২০ সদস্যর একটি তাবলীগ জামাতের টীম ফতুল্লার লোকজন আসেন বৃহস্পতিবার সকালে। তাবলীগ জামাতে আসা মারুফ নামে ওই কিশোর পায়েল ও রিফাতকে নিয়ে গোসল করতে যায় কুশিয়ারা নদীতে। এসময় নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল মারুফ (১৭)। ঘটনার খবর পেয়ে ওসমানী নগর থানার ফায়ার-সার্ভিসের একদল কর্মী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন। কয়েক ঘন্টা উদ্ধার অভিযানে ও খোঁজ মিলেনি মারুফের। কুশিয়ারা নদীতে নিখোঁজ হওয়া মারুফের দুই বন্ধু পায়েল ও রিফাত জানান, ঘটনার দিন দুপুরে কুশিয়ারা নদীতে গোসল করতে যান তিন বন্ধু মিলে। নদীর ঢেউ, ঢেউ পানি দেখে সাঁতার কাটতে নৌকাযোগে একপাড় থেকে অন্য পাড়ে যায় তারা। নৌকা থেকে নেমে সাঁতার কেটে নদী পাড়ি দিয়ে তীরে যায় পায়েল ও রিফাত। পিছন ফিরে থাকালে মারুফের দেখা না মিললে খোঁজাখুজি করেন দুই বন্ধু মিলে।