প্রান্তী দাস হবিগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছোট্ট বেলা স্বরবর্ণ আর ব্যঞ্জনবর্ণ শেখার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার পথচলা। সে একাধারে নাচ, গান আর চিত্রাঙ্কন চর্চা শুরু করে। সে সঙ্গীত প্রশিক্ষক উর্মি রায়ের কাছে সঙ্গীত এবং তরুণ রায়ের কাছে চিত্রাঙ্কনের তালিম নেয়। ওস্তাদদের যোগ্য দিক নির্দেশনা পেয়ে সে আস্তে আস্তে দক্ষ হয়ে উঠে। পরে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ালেখা করার সময় লেখাপড়ার ক্ষতির আশঙ্কায় নাচ শেখা বাদ দেয়। তার প্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত। আর রবীন্দ্র সঙ্গীতই তার জীবনে এনে দিয়েছে সকল প্রাপ্তি। প্রান্তী দাস ইতোমধ্যে প্রায় ৩০টির অধিক সঙ্গীত এবং ২০টির মতো চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখে। যার মধ্যে ২০২০ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সিলেট আয়োজিত রবীন্দ্র সঙ্গীতে ‘খ’ বিভাগে বিভাগীয় পর্যায়ে ১ম, জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পর্যায়ে ‘খ’ বিভাগে রবীন্দ্র সঙ্গীতে ১ম, বাংলাদেশ শিশু একাডেমী হবিগঞ্জ আয়োজিত জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় রবীন্দ্র সঙ্গীতে ১ম, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী হবিগঞ্জ আয়োজিত জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় রবীন্দ্র সঙ্গীতে ‘খ’ বিভাগে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা, জেলা পর্যায়ে ১ম এবং সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করে। রয়েছে জাতীয় পর্যায়েও তার কৃতিত্ব। ২০১৮ সালে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় সিলেট অঞ্চল থেকে অংশ নিয়ে সে রবীন্দ্র সঙ্গীতে তৃতীয় স্থান অর্জন করে সুনাম বয়ে আনে। একই বছর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কবিতা আবৃত্তি (মুক্তিযুদ্ধ) জেলা পর্যায়ে ১ম, দেশাত্ববোধক গান ও রবীন্দ্র সঙ্গীতে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পর্যায়ে ১ম স্থান অর্জিন করে। এভাবে প্রায় প্রতিটি প্রতিযোগিতায়ই সে ১ম হয়েছে। এছাড়াও সে শ্রীকৃষ্ণ মহিমা প্রচার সংঘ, মহানাম সেবক সংঘ, বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ, রোটারী ক্লাব অব হবিগঞ্জ, ইসকন, প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট হবিগঞ্জসহ অসংখ্য সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে। তার অবসর সময় কাটে গান আর চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে। প্রান্তীর প্রিয় খাবার দুধ, প্রিয় ফল আম, প্রিয় ফুল পলাশ আর প্রিয় রং গোলাপী। আনন্দ উৎসবে সে টপস্ পরিধান করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে।
তার পিতা প্রিয় ব্রত দাশ এবং মা মায়া রানী দাস। তারা উভয়েই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। প্রান্তী’র স্বপ্ন মানব সেবা করা। এজন্য সে লেখাপড়া করে ডাক্তার হতে চায়। সে তার স্বপ্ন পূরণে সকলের আশীর্বাদ ও দোয়া কামনা করছে। প্রান্তীর স্বপ্ন সফল ও সার্থক হোক দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পরিবারের পক্ষ থেকে এ শুভ কামনা রইল।
-মঈন উদ্দিন আহমেদ