
মানবতাবাদী কবি ফখরউদ্দিন ঠাকুরের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০০৫ সালের ২৩ জুন মৃত্যুবরণ করেন। এ উপলক্ষে কবির পরিবারের পক্ষে আজ বাদ আছর সরকারি শিশু পরিবার ও বাদ মাগরিব বায়তুল আমান মসজিদে দোয়া-মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কবি ফখরউদ্দিন ঠাকুর ১৯৪৪ সালের ৩০ নভেম্বর মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুরে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। মামাবাড়ির প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর শিক্ষাগ্রহণ শুরু হয়। যৌবনে তিনি উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ড গমন করেন। দেশে থাকাবস্থায়ই তাঁর কাব্যচর্চার সূচনা ঘটে, পরে বিদেশে অবস্থানকালীন সময়েও তা চলমান থাকে। ১৯৬৯ সালে শিক্ষা সমাপ্ত করে দেশে ফিরে লেখালেখিতে আরও ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি মাধবপুরের বহরা গ্রাম নিবাসী ডাঃ সায়েরা চৌধুরীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কবির পৈত্রিক নিবাস বানিয়াচঙ্গের ঠাকুরপাড়ায়। বিবাহিত জীবনের ব্যস্ততা তাঁকে কাব্যচর্চা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। ’৯০-এর দশকের পুরোটা সময় তাঁর কাব্যচর্চায় আচ্ছন্নতার কাল। ২০০০ সালে প্রকাশ করেন কাব্যগ্রন্থ ‘দ্য ভয়েস অব দ্য ইস্ট এন্ড দ্য ওয়েস্ট’। এরপরও তাঁর কাব্যচর্চার গতি অবারিত থাকে। নিভৃতচারী এ কবি সারাজীবন হবিগঞ্জ শহরের টাউন হল সড়কের বাসভবনে বসবাস করেছেন। ২০০৫ সালের ২৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে যান না ফেরার দেশে। তবে রেখে যান অসংখ্য অপ্রকাশিত কবিতা। কবির পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে কবিপতœী ডাঃ সায়েরা চৌধুরী ও কবি-তনয়া ডাঃ তান্নি হাজেরা ঠাকুর সকল আত্মীয়-স্বজন এবং শুভানুধ্যায়ীদের নিকট কবির আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া চেয়েছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি