মাধবপুর-চুনারুঘাটের জনগণ সৈয়দ মোঃ ফয়সলকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়
স্টাফ রিপোর্টার, মাধবপুর থেকে ॥ হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ¦ সৈয়দ মোঃ ফয়সল বলেছেন বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের শত নির্যাতন, মামলা-হামলাকে সহ্য করেছি তবুও বিএনপি ছেড়ে যাইনি। আমার বড় ভাই সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোঃ কায়সার সাহেবকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর কারাগারে রেখে মেরে ফেলেছে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সাহেবকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বলায় ছোট ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ শাহজাহানকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে, আমার বাড়ীতে বোমা হামলা করেছে, শিল্প-কারখানায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে তবু দলের আদর্শ ছেড়ে যাইনি। তাই বিএনপি’র পতাকাতলে থেকেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে চাই।
সৈয়দ মোঃ ফয়সল আরও বলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে অত্যন্ত ভালবাসেন। তাই বিএনপির শাসনামলে এমপি মন্ত্রী না হয়েও মাধবপুর-চুনারুঘাটে শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছি। বিএনপি একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। দলের ঐক্যকে বিনষ্ট করার জন্য ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসররা উঠে-পড়ে লেগেছে। তাদের কাছ থেকে আমাদেরকে সাবধান থাকতে হবে। কোন অবস্থাতেই ঐক্য নষ্ট করা যাবে না। আমি বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজে দলীয় নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করেছি।
তিনি রোববার সকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্র্তৃক ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষে মাধবপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অপরদিকে, সভায় বক্তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সৈয়দ মোঃ ফয়সলকে প্রার্থী হওয়ার আহবান জানান এবং তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার জন্য দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি অনুরোধ জানান। তারা বলেন- মাধবপুর-চুনারুঘাটের জনগণ সৈয়দ মোঃ ফয়সলকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে ওই আসনে সৈয়দ মোঃ ফয়সলের বিকল্প নেই।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সায়হাম কটন মিলস’র এমডি প্রকৌশলী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমদ বলেন- মাধবপুর-চুনারুঘাটের মানুষের সঙ্গে আমাদের আত্মার সম্পর্ক। এ সম্পর্ক একদিনে নয় শত বছরের সম্পর্ক। এ সম্পর্কের টানে বাবার আদেশে বিদেশে পড়ালেখা করে আরাম আয়েশের জীবন ত্যাগ করে দেশে চলে আসি। কিন্তু বিগত ১৬ টি বছর ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদেরকে স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে দেয়নি। পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তাই এখন সুযোগ এসেছে এলাকার জন্য কিছু করার। আমার বাবাকে সুযোগ দেন আমরা উন্নয়ন দিব।
উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি পারভেজ হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ¦ সৈয়দ মোঃ শাহজাহান, সায়হাম গ্রুপের অন্যতম পরিচালক প্রকৌশলী এবিএম হুমায়ুন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সামসুল ইসলাম কামাল, পৌর বিএনপির সভাপতি গোলাপ খান, সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আল রনি, সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক, আব্দুল আজিজ, হাজী অলিউল্লাহ, মাসুকুর রহমান মাসুক, মাহবুবুর রহমান সোহাগ, ফিরোজ মিয়া, চৌধুরী ফজলে ইমাম সুমন, মোস্তফা কামাল বাবুল, সামসুল ইসলাম মামুন, লুৎফুর রহমান খাঁন, বাবুল হোসেন, কবির চৌধুরী, মশিউর রহমান, মোঃ মারুফ মিয়া, জুলহাসউদ্দিন রিংকু, জনি পাঠান, এমদাদুল হক সুজন, জসিম শিকদার, মাসুদ আলী, লিটন পাঠান, মুখলেছুর রহমান সোহেল, ফরিদুর রহমান, আলগীর কবির, রাশেল আহম্মদ প্রমুখ। মতবিনিময় সভা হলেও পরবর্তীতে তা জনসভায় রূপ নেয়।