স্টাফ রিপোর্টার, মাধবপুর থেকে ॥ হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মোঃ ফয়সলকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় দুই উপজেলার নেতাকর্মী এবং সাধারণ ভোটাররা। তার শেষ বয়সে ভোটাররা চাচ্ছেন দলমত নির্বিশেষে তাকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে অবহেলিত দুই উপজেলার উন্নয়নের তরী এগিয়ে নিতে।
মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে হবিগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসন গঠিত। এই আসনে কে হচ্ছেন বিএনপির প্রার্থী এ নিয়ে সর্বত্র চলছে নানামুখি আলোচনা। আলোচনার শীর্ষে আছেন দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ মোঃ ফয়সল। দুই উপজেলার সকল শ্রেণি পেশার ভোটারদের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে, আজীবন বিএনপি করে আসা হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ মোঃ ফয়সল এবার চুনারুঘাট-মাধবপুর আসনে খুবই জনপ্রিয়। এর কারণ হচ্ছে তিনি একাধিকবার এই আসনে নির্বাচন করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে এমপি হতে পারেনি। তার শেষ বয়সে ভোটাররা চাচ্ছেন দলমত নির্বিশেষে তাকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে। বিগত সময়ে জনপ্রতিনিধি না হয়েও তিনি সমাজসেবা করে গেছেন উদারহস্তে। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার সৈয়দ মোঃ ফয়সলের পরিবারকে মামলা-হামলা করে মারাত্মক হয়রানি ও নির্যাতন করেছে। তার বড় ভাই সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ কায়সারকে কথিত অভিযোগ দিয়ে বছরের পর বছর কারাগারে অন্তরীণ রেখেছে, কারাগারেই তার মৃত্যু হয়েছে। ছোট ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ শাহজাহান সরকারি অনুষ্ঠানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মহান স্বাধীনতার ঘোষক বলায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ একাধিক রাজনৈতিক মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়েছে। ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সৈয়দ মোঃ ফয়সল দুর্দিনে বিএনপির নেতা কর্মীদের আগলে রেখেছেন। এ কারনে সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই উপজেলার লাখো ভোটার সৈয়দ মোঃ ফয়সলকে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে চান। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক মাঠে সৈয়দ মোঃ ফয়সলকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ হাট-বাজারে তুমুল আলোচনা চলছে।
জগদীশপুর জেসি হাইস্কুলের সাবেক শিক্ষক আজগর আলী বলেন, সৈয়দ মোঃ ফয়সল ঐতিহ্যবাহি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাধবপুর-চুনারুঘাটবাসীর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। দুই উপজেলার মানুষের সাথে তার ভাল সম্পর্ক রয়েছে। সরকার নির্বাচনের সম্ভাব্য একটি তারিখ ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চুলছেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে। তবে এবার জনপ্রিয় এবং সবর্জন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে সৈয়দ মোঃ ফয়সলের নাম আসছে সবার আগে। কারণ বিএনপির দলীয় ভোট ছাড়াও দলমত নির্বিশেষে তাকে ভোট দেবেন সকল স্তরের মানুষ। এর কারণ বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি এমপি না হয়েও সকলের সুখে দুঃখে, সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে তার সরব উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁর পরিবার বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে অস্বচ্ছল মানুষদের সাহায্য সহযোগীতা করেছেন। বন্যাসহ যে কোন দুর্যোগে তিনি শীতবস্ত্র সহ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। বিশেষ করে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর মাধবপুর-চুনারুঘাটে কোন রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। কাউকে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়নি। চুনারুঘাট-মাধবপুর সংসদীয় আসনে ২৩টি চা বাগানের নিরীহ শ্রমিকদের যাতে কোন সমস্যা না হয় তিনি সব সময় খোঁজ রেখেছেন। এ কারণে সর্বজন শ্রদ্ধেয় সৈয়দ মোঃ ফয়সলকে এমপি নির্বাচিত করতে ভোটাররা উদগ্রীব হয়ে আছেন।
মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম মামুন বলেন, হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে সৈয়দ মোঃ ফয়সলের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তাঁর সাথে সাধারণ মানুষের হৃদয়ের সম্পর্ক। তার ২ ছেলে শিল্পপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোঃ ঈশতিয়াক আহমেদ ও সৈয়দ মোঃ সাফকাত আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে তাঁর পিতার অনুসারী হয়ে মাধবপুর-চুনারুঘাট যুবসমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। কারণ জনসাধারণের কাছে তাদের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
মাধবপুর বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী মাহবুব খাঁন বলেন, সৈয়দ মোঃ ফয়সরের বিকল্প নাই। তিনি উপজেলার শিক্ষা বিস্তার, মেধাবৃত্তি, ইফতার সামগ্রী, শীতবস্ত্রসহ অসংখ্য জনসেবা মূলক কাজ করে যাচ্ছেন।
মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সামসুল ইসলাম কামাল বলেন, সৈয়দ মোঃ ফয়সল তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রাণ। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এবার সৈয়দ মোঃ ফয়সল বিএনপি থেকে মনোনীত হলে সিলেট বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হবেন।