নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে প্রায় ২ মাস যাবত বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর বাইরে নয় দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ক্বওমী মাদ্রাসাগুলোও। যখন বার্ষিক পরীক্ষা সমাগত তখনি বাংলাদেশে হানা দেয় করোনা ভাইরাস। দেশের মানুষের প্রাণ রক্ষায় ১৭মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সকল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এর পর থেকেই বেকার রয়েছেন ক্বওমী মাদ্রাসার শিক্ষকরা। যখন থেকে মাদ্রাসা বন্ধ, তখন থেকেই কার্যত তাদের আয়-উপার্জনও বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিধি নিষেধের কারণে খতমে তারাবীর নামাজও অধিকাংশ মসজিদে হচ্ছে না। সবদিক মিলিয়ে স্বল্প আয়ের ক্বওমী মাদ্রাসার শিক্ষকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। না পারছেন লোক লজ্জার ভয়ে ত্রাণ নিতে, না পারছেন সহ্য করতে। তা ছাড়া সম্প্রতি সরকার কতৃক বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া (ক্বওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড) কে ৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা প্রণোদনা দিলেও সেই টাকা দেওবন্দ মাদ্রাসার শিক্ষানীতির সাথে পরিপন্থি হওয়ায় গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দিয়েছে বেফাক বোর্ড। এ নিয়ে বেফাকের নেতৃবৃন্দের মধ্যে কোন ধরণের দ্বি-মত নেই।
এক অনুসন্ধানে জানা যায়, নবীগনজ উপজেলায় ছোট বড় প্রায় শতাধিক ক্বওমী মাদ্রাসা রয়েছে। এই মাদ্রাসাগুলোতে ৩০০ জন শিক্ষক রয়েছেন। তারা ২ মাস যাবত বেতন পাচ্ছেন না। সামনে ঈদ। এ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন সেই স্বল্প আয়ের শিক্ষকরা। কবে নাগাদ পরিবেশ অনুকূলে আসবে তারও ঠিক নেই।
এ ব্যাপারে নবীগনজের একজন মাদ্রাসার মোহতামিম জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে মাদ্রাসাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষার ফিস থেকেও শিক্ষকরা বঞ্চিত। সেই সাথে বেতন নেই ২ মাস যাবত। পবিত্র রমজানে অনেক শিক্ষক তারাবীর নামাজ, ক্বেরাত প্রশিক্ষণ দিতেন। সেটিও বন্ধ। সবদিক মিলিয়ে ক্বওমী মাদ্রাসার শিক্ষকরা ভালো নেই। সামনে পবিত্র ঈদ। যেখানে দৈনন্দিন জীবন যাপন করা অনেকের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে, সেখানে সন্তানদের জন্য কেনাকাটা করা দুঃস্বপ্নের মতোই।

নবীগনজ বেফাক শিক্ষা বোর্ডের মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব জানান, বেফাক বোর্ড থেকে অসহায় শিক্ষকদের তালিকা করা হচ্ছে। বোর্ডের সামর্থের আলোকে চেষ্টা চলছে সারা বাংলাদেশের ক্বওমী মাদ্রাসার অসহায় শিক্ষকদের সহযোগিতা করতে