স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নে নসরতপুরে একটি হত্যা মামলার বাদি পক্ষের লোকজনদের বিরুদ্ধে আাসমী পক্ষের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি পুরুষ শূন্য বসতবাড়িতে ঢুকে বাদি পক্ষের লোকজনরা অগ্নিসংযোগ করারও অভিযোগ করেছে বাদি পক্ষ। নসরতপুর গ্রামের আব্দুর রউফ হত্যা মামলার আসামী একই গ্রামের উস্তার মিয়া সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, গত ২৪ এপ্রিল বাড়ির পানি নিষ্কাশন নিয়ে পাশ্ববর্তী মন্নান মিয়া ও তার লোকজনদের সাথে তাদের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার অনেকক্ষণ পরে মন্নান মিয়ার চাচাতো ভাই আব্দুর রউফ স্ট্রোক করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর সে মারা যায়। এই ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মন্নান মিয়ার যোগসাজসে আব্দুর রউফের স্ত্রী বাদি হয়ে উস্তার মিয়া, ইকবাল ও তার আত্মীয়স্বজনদেরকে আসামি করে হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় আক্রোসমূলক আসামী পক্ষের বাহিরের আত্মীয় স্বজনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার পর আসামীর বাড়িঘর ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। শনিবার সরেজমিনে গেলে আসামী উস্তার মিয়ার স্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, মামলা দায়ের করেই প্রতিপক্ষ মন্নান মিয়া ও তার লোকজন ক্ষান্ত হয়নি, গত ১ মে রাতে তারাবিহ নামাজের পর মন্নান মিয়া, আব্দুল গনি, উজ্জল মিয়াসহ তাদের আরো লোকজন তার ঘর, উমর আলীর ঘর ও কুরবান আালীর বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনার জের ধরে ইউপি সচিব জেসমিন আক্তার বাবার বাড়ির ঘর থেকে ৭০ বস্তা সিমেন্ট প্রতিপক্ষের লোকজন লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও জেসমিনের জামাতা শামীমকে আক্রোসমূলক ভাবে আসামী করা হয়েছে। এমনকি যাওয়ার সময় হামলাকারীরা তাদের বাড়িতেব অগ্নিসংযোগও করে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ শহর থেকে ফায়ার সার্ভিস এর লোকজন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
হামলার শিকার মহিলারা বলেন, তারা এখন পুরুষশূন্য বাড়িঘরে মন্নান মিয়া ও তাদের লাকজনদের ভয়ে আতংকিত অবস্থায় দিনযাপন করতাছে। তবে ইউপি সদস্য মামলার বাদী পক্ষের আব্দুল গনি জানান, তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আসামী পক্ষ মামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এসব নাটক সাজিয়েছে। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুক আলী বলেন, এরকম আমরা ঘটনার খবর শুনেছি। আমরা এটা যাচাইবাছাই দেখছি।