নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে কমছে ধানের দাম। হতাশায় ছেয়ে গেছে কৃষকের মুখ। কিছু দিন আগেও কৃষি শ্রমিক সংকটের কারণে ঘরে ধান তুলা নিয়ে কৃষকের মুখে ছিলো হতাশার ছাপ। কিন্তু এই হতাশার ছাপ মুছতে না মুছতেই আবারও কৃষকের মুখে বিষাদ দেখা দিয়েছে। কৃষকের মনে সুখ নেই। কারণ গত বোরো মৌসুমেও ধানের দাম না পেয়ে লোকসান গুনতে হয়েছে কৃষকদের। যার কারণে এই বছর অনেক জমি অনাবাদী হিসেবেই পড়ে ছিল। তাছাড়া দফায় দফায় চালের দাম বাড়লেও কমছে ধানের ধান। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মণ প্রতি কমছে ১৫০-২০০ টাকা। ধানের মূল্য কমায় মিল মালিক ও আড়ৎদার ও সিন্ডিকেট কে দায়ী করছেন তারা। ফলে দাম কমহওয়ায় হতাশ মাথায় হাত উঠেছে কৃষকদের।
কৃষকরা বলেন, একমণ ধান উৎপাদনে খরচ হয় ৭০০-৭৫০ টাকা। কিন্তু তাদের বিক্রি করতে হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়। এতে করে ধান বিক্রি করে উৎপাদন খরচও উঠছে না তাদের। অনেকেই আটকা পড়বেন ঋণের বেড়াজালে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জের কৃষক মমিন ইসলামের এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সরকারকে কোনো মাধ্যম ছাড়া সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে হবে। তা’না হলে ধান চাষ করে যেভাবে বছরের পর বছর লোকসান হচ্ছে এতে করে ধান উৎপাদনের আগ্রহ হারিয়ে যাবে। এবছর লোকসানের সম্মুখীন হলে আগামী বছর থেকে আর ধান চাষ করবো না।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলায়৪০হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১লাখ ৮০ হাজার টন। তাছাড়া, বৈশাখ মাসের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত জমির ধান কাটা হচ্ছে। তবে কর্তনকৃত অধিকাংশ ধানই মোটা ধান। আরও এক সপ্তাহ পরে চিকন ধান কাটা শুরু হবে।