ঘাতকরা তাকে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে ভিতরে পাথর দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে দেয়
অপু আহমেদ রওশন ॥ নিখোঁজের ৬দিন পর হবিগঞ্জ পৌর এলাকার উমেদনগরের রঙ্গিলা মিয়ার মরদেহ হাওর থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় উমেদনগরে নিহতের পরিবারে যেমন শোকের ছায়া নেমে এসেছে, তেমনি এলাকাবাসী এমন নিষ্ঠুর ঘটনায় বিষ্মিত হয়েছেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আড়াইশ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত রঙ্গিলা মিয়া (৫৫) উমেদনগর মধ্যহাটির নুরুল হোসেনের পুত্র।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, রঙ্গিলা মিয়া গত ৬দিন যাবত নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে বানিয়াচং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে পত্রপত্রিকায়ও বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। কিন্তু তাতেও তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার দুপুরে হঠাৎ করে সুনারু গ্রামের পার্শ্ববর্তী হাওরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। বিষয়টি পুলিশকে অবগত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে বানিয়াচং থানার (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর ঘাতকরা তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে বস্তার ভেতর পাথর দিয়ে হাওরের পানিতে ডুবিয়ে দেয়। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। খুব শিগগির এ ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে নিহত রঙ্গিলা মিয়ার ছেলে ওয়াহিদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- আমার বাবা একটি ফিসারীতে রাতে পাহারা দিতেন এবং সেই বিলে তার শেয়ারও ছিল, তবে এখন পর্যন্ত কাউকে সন্দেহ করা যাচ্ছে না, তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত হত্যাকারীদের দ্রুত বের করে পিতার হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি করেন ছেলে ওয়াহিদ।