স্টাফ রিপোর্টার ॥ ফৌজদারি মামলায় ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত শায়েস্তাগঞ্জ মডেল কামিল মাদ্রাসার সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মাওলানা শাহাবুদ্দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। গত সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং বিচার আদালত মাওলানা শাহাবুদ্দিনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শাহাবুদ্দিন চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি ইউনিয়নের গাতাবলা গ্রামের ইয়াকুব আলীর পুত্র।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সাজাপ্রাপ্ত আসামি শাহাবুদ্দিন ২০১৭ সালে ২৫ মে তারিখে হবিগঞ্জ সমাচার পত্রিকায় জেলা কাজী সমিতির সভাপতি ও শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার বিবাহ রেজিস্ট্রার কাজী মাওলানা আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে মানহানিকর কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় কাজী মাওলানা আব্দুল জলিল বাদী হয়ে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচার- ২ আদালত হবিগঞ্জ, এ সিআর ৪১৪/১৭ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে সিআর ৪১৪/১৭ মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট রাহেলা পারভীন শাহাবুদ্দিনকে ২০২২ সালে ২২ মার্চ দন্ডবিধির ৫০০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদ- প্রদান করেন। উক্ত আদেশের পর আসামী দায়রা জজ আদালত হবিগঞ্জে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে দ-াদেশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আপিল নং ১৫৭/২০২২ দাখিল করেন, আপিল মামলা শুনানি শেষে গত ২৪ জুন অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক সৈয়দ মোঃ কায়সার মোশাররফ ইউসুফ পর্যবেক্ষণসহ আপিল নামঞ্জুর করেন এবং দন্ডবিধির ৫০০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদ- প্রদান করেন। আসামিকে ৩০ দিনের মধ্যে বিজ্ঞ বিচারিক আদালতে হাজির পূর্বক সাজা ভোগ করার নির্দেশ প্রদান করেন। শাহাবুদ্দিন ১৪ জুলাই হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দ-প্রাপ্ত আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নং বিচার আদালতের পেশকার মোঃ আব্দুল কুদ্দুস। তিনি জানান- সংশ্লিষ্ট মামলার আসামি আদালতে হাজির হলে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।